নিম্ন লেখা টি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।।
এই আকাশে আমার মুক্তি ধুলায়
ধুলায় ঘাসে ঘাসে।
ছবি ও লেখা ঃ দেবাশীষ ব্যানারজী |
মঊলবন , নামে-ই মধু আর
মাদকতা । বাঙলায় যাকে বলে স্বার্থকনামা । সে যদি হয় , এক
সুবিশাল জলাশয়ের কাছে , যার মধ্যে জেগে আছে এক ত্রিভুজাকৃতি
পাহাড় , ঘন সবুজ বনানীতে ঢাকা । লাল মাটির পথ , শাল , তমাল , মহুয়া , শিমুল , সেগুন পরিবেষ্ঠীত এক অনুপম পরিবেশ । সারি
সারি মাটির ঘর , আদিবাসি পল্লী , যারা
আছে কোনোরকমে খেয়ে পরে , মনের মধ্যে বজ্রকঠিন বাঁচার সংকল্প
নিয়ে , এই প্রকৃতির অংশ হয়ে । প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে এই জলাশয় আর পাহাড় ঘিরে ।
আলোর পরিবর্তনে যার মোহময়ী রুপ পাল্টে যায় প্রহরে প্রহরে । নিশি রাতের আকাশে
রুপালি বাঁকা চাঁদের শোভা দেখতে দেখতে,
শোনা যেতে পারে তার চুপি চুপি কথা । কোন উৎসবের রাতে ভেসে আসতে পারে
ধামসা আর মাদলের আওয়াজ ।
বরন্তির মউলবন রেসর্ট এক অনাবিল
শান্তির ঠিকানা । সারি সারি ছোট ছোট বাড়ি , শহরের লোকেদের
প্রকৃতি পরিচয়ের আস্থানা । থাকার খরচা দুজনের থাকার ঘরে ১০৫০ টাকা, তিনজনের থাকার ঘরে ১৩০০ টাকা, এসি র জন্যে অতিরিক্ত
৩০০ টাকা ঘর হিসেবে । আর ৬ জনের ডরমিটরি তে জনপ্রতি ৪০০ টাকা, প্রতিদিন হিসাবে এটা কিন্তু ননএসি । । সারাদিনের খাওয়ার খরচ ৩৭৫ টাকা ( ১৪
অগাস্ট থেকে )। প্রতিটি ঘরেই বারান্দা আছে। । দেখা যায় পাহাড় । লেকে হেঁটে যেতে বড়
জোর ৫ মিনিট । বুকিং করতে চাইলে ফোন করতে পারেন Saptarshi Roy কে @
7980860823/9874313105.
একরাউন্ড চা পানের পর বেরিয়ে পড়তে
পারেন জয়চন্ডী পাহাড় – ১৫ কিমি ( হীরক রাজার দেশে
, উদয়ন পন্ডিত লুকিয়ে ছিলেন যেখানে ) আর গড়পঞ্চকোটের
(১২ কিমি ) উদ্দেশ্যে । জয়চন্ডি পাহাড়, বরন্তি লেক থেকে 22
কিমি দূরে । জয়চন্ডী থেকে গড় পঞ্ছকটের দুরত্ত্ব প্রায় ২০ কিমি ।
গড়পঞ্চকোট আসলে পাঞ্চেত পাহাড়ের পাদদেশে কিছু প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ । অষ্টাদশ
শতাব্দীতে বর্গি আক্রমনের একটি নীরব সাক্ষ্য। এ ছাড়া যেতে পারেন, বিহারিনাথ ( ১৫ কিমি ), পাঞ্ছেত ড্যাম(২২ কিমি) ,
মাইথন ড্যাম (৩৮কিমি) , শুশুনিয়া (৪০ কিমি)
কিমবা অযোধ্যা পাহাড় ( ১৩০ কিমি ) কোলকাতা থেকে বরন্তি আনুমানিক ২৫০ কিমি ,
যেতে ৫/৫.৫ ঘন্টা ত লাগবেই। ট্রেন এ গেলে আসানসোল হয়ে বা মুরাদি হয়ে
যেতে হবে ।
যারা এখানে যাবেন , তাদের কাছে একটিই অনুরোধ , প্রকৃতিকে উপভোগ করুন পরম
তৃপ্তিতে , কিন্তু খেয়াল রাখবেন, সরল
আদিবাসী পল্লির মানুষদের জীবনে যেন অন্তরায় না হয়ে ওঠেন । ঘুরে আসুন বর্ষাতে ,
শরতে , হেমন্তে , শীত ,
বসন্তে । গ্রীষ্মের শুষ্কতা যদি মন টানে , তবে
তাও যেতে পারেন । ভালো লাগবে ওনাদের আতিথেয়তা, ফটিকের অনাবিল
হাসিমুখ , আর তার হাতের রান্না । BORONTI Moulbon
Resort
1 Comments
Nice information, thanks for sharing
ReplyDeleteThank You!!!