মেঘবাড়ি!!
এনজেপি থেকে মোটে দু'ঘন্টার রাস্তা পেরোলেই পেয়ে যাবেন মেঘেদের ঘরবাড়ি। আর এ ঘরবাড়ির কোন পাকা দলিল নেই, মিউনিসিপালিটি র প্ল্যান নেই, এমনকি জমি রেজিস্ট্রেশন ও নেই। যেমন খুশি বানানো আর পরমুহূর্তে ই ভেঙ্গে আবার নতুন বানানো ।
লালনের কথায় " কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যের ও মাঝার"...
লালনের কথায় " কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যের ও মাঝার"...
Image (C) : Koushik Banerjee |
অবাক হচ্ছেন তো! তাহলে যে কোন দিন এনজেপি পৌঁছে একটা গাড়ি করে চলে যান ব্যাগোরা। কার্শিয়াং থেকে একটু এগিয়ে দিলারাম। ওখান থেকে ডান দিকে খাড়া চড়াই ধরে ৭২০০ ফিট উঁচুতে ব্যাগোরা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে একটা ঘুমিয়ে পড়া নিঝুম গ্রাম।
থাকার জায়গা একটাই। একটা উঁচু টিলার উপর মিসেস ডিকির হোম স্টে। বিলাসিতা পাবেন না, উষ্ণ আতিথেয়তা পাবেন, বৈভব পাবেন না, আন্তরিকতা পাবেন। পাবেন যখন খুশি চা, পাবেন সাদা মুচমুচে লুচির সঙ্গে মায়াময় আলুর তরকারি, গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে অচেনা পাহাড়ি স্বাদের ডিমের ঝোল, ঠান্ডা শীতের রাতে আদুরে গরম চাপাটির সঙ্গে খুনখারাবি রঙের ফাটাফাটি স্বাদের মুর্গির কারি আর ঘনযৌবনা চাটনি।
Image (C) : Koushik Banerjee |
রাত গভীর হলে চারিদিকের পাহাড় গুলো মেঘে ঢেকে যাবে..দূরে পাইন গাছগুলোর মাথায় আধভাঙা চাঁদের আলো এক অলীক স্বপ্নের দেশ তৈরী করবে, আপনার মনে হবে এখুনি বুঝি পরীরা এখানে নেমে আসবে। ছোট ছোট চাওয়া পাওয়া ভুলে যাবেন, ভুলে যাবেন জীবনের সমস্ত না পাওয়ার দুঃখ, মন থেকে মুছে যাবে দৈনন্দিন জীবনের গ্লানি, মান-অপমান, সাংসারিক শতেক ঝামেলার কথা। নিজেকে চিনবেন, অনুভব করবেন আপনার মধ্যের সেই সুউচ্চ মানুষটিকে ।
যান, ঘুরে আসুন। ফিরে এসে যদি আমাকে ফোন করে " থ্যাঙ্ক ইউ" না বলেন...কথা দিচ্ছি প্রাণের চেয়েও প্রিয় সিগারেট ও ছেড়ে দেব।
ছবি ও লেখা : Koushik Banerjee (কপিরাইটেড কনটেন্ট) সোর্স : ফেসবুক
0 Comments
Thank You!!!