Bangriposi, Lost in the woods

ছবি ও লেখা ঃ Rituparna Thakur
Rituparna Thakur এর ডায়রি থেকে 

বাংরিপোসির দু রাত্তির
নামটা শুনলেই প্রথম মনে পড়ে বুদ্ধদেব গুহ। এই জায়গার বর্ননা করা এক কথায় অসম্ভব। নিজের সাথে নিজে কেও যদি দেখা করতে চায়, তবে এখানে আসতে হবে। মহুয়ার গন্ধে মাতাল এক অপার্থিব পরিবেশ। পলাশ, কুসুম গাছের ছায়ায় ঢাকা শান্ত, নিরিবিলি এক টুকরো আলাদা জগৎ। অসংখ্য পাখি... বেনে বউ, স্টারলিং, মুনিয়ার দেখা যায় এখানে। একটু দূরে, বুড়িবালাম নদীর জলে খেলা করে যায় ভোরের সূর্যের আলো। ছোট পাহাড়ের অচেনা বাঁকে চলতে চলতে দেখা মেলে কোন আদিবাসী দেবতার, পথের ধারে অজানা কোন বুনো ফুল তার গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক' কে যেন উপলব্ধি করা যায় এখানে এলে। আবার সেই আদিম, অলৌকিক পৃথিবীতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।

ছবি ও লেখা ঃ Rituparna Thakur
কিভাবে যাওয়া: হাওড়া থেকে ধৌলি এক্সপ্রেস ধরে বালাসোর স্টেশন। সেখান থেকে গাড়িতে ঘন্টা 3 এর মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় বাংরিপোসি। (মাঝে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কোন ধাবা তে চাইলে খেয়ে নেওয়া যেতে পারে)

কোথায় থাকা: হোটেল বাংরিপোসি। এটি আসলে একটি বাড়ি। পুরোটাই ভাড়া নিতে হয়।( যারা বেড়াতে গিয়ে খুব লাক্সারি খোঁজেন, তাদের জন্য এ জায়গা নয়)। তিনটে ঘর,প্রতিটি তে লাগোয়া বাথরুম, বড় একটি খাওয়ার জায়গা এবং মাটির দাওয়ায় ঘেরা, সুন্দর বাড়ি টি দেখলেই খুব আপন বলে মনে হয়। ঘরোয়া রান্না, বললেই গরম বানিয়ে দেওয়া হয়। আতিথেয়তা এক কথায় অসাধারন, মনেই হবেনা বাইরে কোথাও আসা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই বাড়ির ই একটি ঘরে বসে বুদ্ধদেব গুহ উপন্যাস টি লিখেছিলেন। কিছু পুরনো বই, ম্যাগাজিন রাখা, বইপ্রেমীদের জন্য।

ঘোরা ফেরা, বেড়ানো: হোটেল থেকে পায়ে হেঁটে আদিবাসী গ্রাম, হাট দেখে আসা যায়। অটো করে বুড়িবালাম নদীর ধারে বেরিয়ে আসা যায়। এখানকার আসল সৌন্দর্য তার শান্ত, নিঝুম পরিবেশ। যারা সত্যি নির্জনতা পছন্দ করে, প্ৰকৃতিকে অনুভব করতে চায় তাদের জন্য এ জায়গা আদর্শ ।


(বুকিং বিষয়ে এই সাইট টি সেক্ষেত্রে দেখতে পারেন।)
http://www.bangriposi.com )

ছবি ও লেখা ঃ Rituparna Thakur
কপিরাইটেড কনটেন্ট

0 Comments